করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল। তাই ঈদ উপলক্ষে গত কয়েক দিন গাবতলী ও আমিনবাজার থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে আজ বৃহস্পতিবার ( ১৩ মে ) আমিনবাজার থেকে দূরপাল্লার পরিবহন ছেড়েছে। এসব পরিবহনে গন্তব্যে ছুটছে ঘরমুখী মানুষ।
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। গত কয়েক দিন ধরে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছিল গাবতলী ও আমিনবাজারে। তবে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন বাড়ি ফেরা মানুষজন। কিন্তু ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দূরপাল্লার পরিবহন ছেড়ে গেছে আমিনবাজার থেকে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আমিনবাজার এলাকায় দেখা গেছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চট্টগ্রাম রুটে তিশা স্পেশাল পরিবহন যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। এ পরিবহনে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাড়া ৮০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ভাড়া একটু বেশি হলেও দূর পাল্লার বাসে যাতায়াতে নিরাপদ বলে মনে করছেন যাত্রীরা। এর বাইরেও আমিনবাজার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও সিলেটগামী পরিবহন সামি-জনি পরিবহন যাত্রী নিয়ে আমিনবাজার ছাড়তে দেখা গেছে।
সামি-জনি পরিবহনের চালক মো. আসাদ বলেন, শুনেছি সরকার নাকি দূরপাল্লার পরিবহন ছেড়ে দিয়েছে। এজন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। আমি যাত্রী নিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ যাবো। যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে ভাড়া নিয়েছি।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক রুটের পরিবহন চলছে। তাদের চলাচলে সে রকম কোনো সমস্যার কথা এখনও জানা যায়নি। তাই ঝামেলা হবে না বলে মনে হচ্ছে।
তিশা স্পেশাল পরিবহনের চালক হামিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকেই প্রথম গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলাম। আমার বাড়ি রাজশাহী তাই যাত্রী নিয়ে রাজশাহী যাবো। গত দেড় মাস ধরে গাড়ি চালাতে পারিনি। খুব কষ্টে দিন কাটিয়েছি। এতদিন কোনো আয় ছিল না। আজ যাত্রী নিয়ে গেলে কিছু টাকা আয় হবে।
মহাসড়কে পুলিশ ধরবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ তো ঝামেলা করবেই। তারপরও খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে হচ্ছে না। কিছু টাকা পয়সা দিলে ছেড়ে দিতে পারে।