উচ্চ মূল্যের সবজি চাষে সফল রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ খুনিয়াপালং এলাকার মোঃ শফি আলম। একসময় পান চাষ করা শফি আলম এখন সুশীলনের সহযোগিতায় উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। তিনি দক্ষিণ খুনিয়াপালংয়ের গোলাম কাদেরের পুত্র।
জানা যায়, ২০২২ সালের অক্টোবরে তিনি সুশিলন, vso ও মুসলিম হ্যান্ডসের আর্থিক সহযোগিতায় উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ শুরু করেন। সুশীলন শফি আলমকে প্রথমে ক্যাপসি ক্যাম, লেটুস, ব্রুকলি, স্কোয়াস, শসার বিভিন্ন প্রজাতির চারা ফ্রিতে প্রদান করেন। এরপর উক্ত চারা তিনি ৩০ শতক জায়গার উপর কৃষির নতুন পদ্ধতি মালচিং পেপারের মাধ্যমে জৈব সার ব্যবহার করে চাষ শুরু করেন। বর্তমান উক্ত চাষ থেকে তিনি প্রায় দেড় লক্ষ টাকা লাভবান হয়েছেন এবং আরও লাভবান হবেন বলে জানা যায়।
চাষী শফি আলম জানান, আমি আগে পান চাষ করতাম। এরপর আমার সাথে সুশীলনের প্রজেক্ট অফিসার মোঃ রিয়াদ হাসানের সাথে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ সম্পর্কে বলেন এবং আমি তাতে আগ্রহ প্রকাশ করি। তার কথা মতো আমি এ উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ করি। ক্যাপসি ক্যাম, লেটুস, ব্রুকলি, স্কোয়াস, শসা, ঢেড়স ও আলুর চাষ করি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে জৈব সার প্রয়োগ করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করি।
এগুলো আমি উখিয়া, কোটবাজার, তুলাবাগান ও কক্সবাজারে পাইকারীতে বিক্রি করি। উক্ত চাষে আমি এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেছি। আমার আরও ক্যাপসি ক্যাম, লেটুস, ব্রুকলি, স্কোয়াস রয়েছে। এগুলো বিক্রি করে আমি আরও লাভবান হবো।
শফি আলমের সফলতার বিষয়ে সুশীলনের প্রজেক্ট অফিসার মোঃ রিয়াদ হাসান জানান, আমরা প্রথমে শফি আলমকে উক্ত চাষ সম্পর্কে অবহিত করি। উন্নত প্রজাতির ক্যাপসি ক্যাম, লেটুস, ব্রুকলি, স্কোয়াস, শসার বীজ মুসলিম হ্যান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় প্রদান করি। এরপর খুনিয়াপালংয়ের মির্জা আলী দোকানস্থ স্টেশনের পাশে ধানি জমিতে এ চাষ করেন শফি আলম। এরপর তাকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। বর্তমান এ চাষ করে তিনি দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। ভবিষ্যতে আরও লাভবান হবে বলে আশা রাখি।