পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাগরপাড়সহ শহরজুড়ে গড়ে উঠেছে ৪৫০-এর বেশি হোটেল-মোটেল। এই হোটেলের অধিকাংশেই নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। কিছু কিছু হোটেলে থাকলেও তা বেশির ভাগই ত্রুটিপূর্ণ। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় হোটেলগুলো রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হবে সংশ্লিষ্টদের। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অবশ্য, এসব হোটেল মালিকদের দ্রুত হোটেলগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যকর করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসেন কক্সবাজারে। কিন্তু এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। অন্যদিকে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ রোহিঙ্গা ক্যাম্প কক্সবাজারে হওয়ায় আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তারা এখানে থাকতে আসেন। অর্থাৎ বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের বসবাস রয়েছে কক্সবাজারের এসব হোটেল-মোটেলে। কিন্তু এই হোটেল-মোটেলগুলোর অধিকাংশে ফায়ার ফাইটিং প্ল্যান, একটি কক্ষে ৯টি অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র চারটি, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার যত্রতত্র, ওয়াটার রিজার্ভে পর্যাপ্ত পানি নেই এবং জরুরি মুহূর্তে বের হওয়ার নেই কোনো ব্যবস্থা। ফ্লোর মার্কিং নেই। এ কারণে প্রতিমুহূর্তে ঝুঁকিতে রয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ।
কক্সবাজারে গড়ে ওঠা এই হোটেলগুলোতে সম্প্রতি অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত সাপ্তাহে অভিযান চালিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় জরিমানা করা হয়েছে বিভিন্ন হোটেলকে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন পর্যায়ক্রমে কক্সবাজারের সব হোটেল মোটেল কে অভিযানের আওতায় আনা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি রিসোর্টের নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেভাবে সব হোটেলে করলে ভালো হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, ফায়ার সার্ভিসসহ সব বিভাগকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব হোটেল-মোটেলকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হবে।