জেলা শহরে যাতায়াতের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র বিচ্ছিন্ন রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলাবাসী। কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেরি চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফেরি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসি এর একটি প্রতিনিধি দল কুড়িগ্রাম আসছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চিলমারী উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হবে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য আগামী ২ মার্চ প্রতিনিধি দল কুড়িগ্রাম আসছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া কুড়িগ্রাম সফরে এসে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা পরিদর্শনে যান। সে সময় তার কাছে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর বিষয়ে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়। মূখ্য সচিব বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার সফর সঙ্গী নৌ পরিবহন সচিব ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা দেন। এর প্রেক্ষিতে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। ফেরি যোগাযোগ চালু হলে কয়েক যুগের ভোগান্তির অবসান ঘটবে। এর ফলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে। শুধু চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সাথে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে। সরকারের এই জনবান্ধব সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, মূলত মূখ্য সচিব স্যারের নির্দেশনায় ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্ভবতা যাচাই করে খুব শিগগির ওই রুটে ফেরি চলাচল করবে।