গাইবান্ধা-৩ আসনে নৌকার দৌড়ে এগিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব:) মেজর মো:মফিজুল হক সরকার

রবিউল ইসলাম রুবেল:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা ৩ আসন থেকে যে কজন নৌকা প্রার্থী রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন মেজর মো. মফিজুল হক সরকার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে নৌকা মার্কার এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে গ্রামগঞ্জ,পাড়া-মহল্লাসহ চায়ের স্টলে মতবিনিময় ও প্রচার অব্যাহত রেখেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব:) মেজর মফিজুল হক সরকার।

ইতিমধ্যে তিনি দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে সৎ দানবীর সমাজ সেবক হিসেবে পেয়েছেন ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দিন-রাত। তিনি পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিরামহীন কাজ করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচার অব্যাহত রেখেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব:) মেজর মফিজুল হক সরকার গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মরহুম তমিজ উদ্দীন ও মাতা মরহুমা মহিমা বেগমের ৬ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে সবার বড় সন্তান ছিলেন। ছাত্র জীবনে মফিজুল হক ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে এখন সমাজ সেবায় নিজেকে নিবেদিত রাখতে চান।২/০২/১৯৭২ ইং তারিখে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে জাতীয় রক্ষিবাহিনীতে যোগদান করে সুনামে সাথে দীর্ঘ সময় কর্তব্য পালনের পর ১৯৯২ সালে মে মাসে মেজর হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। অহংকার মুক্ত বা নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে অতি জন প্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে সর্বোপরি কাজ করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ,পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক ব্যক্তি হিসাবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এলাকার গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। জনদরদী হিসেবেও তিনি দুটি উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।

রাজনৈতিক জীবন তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গাইবান্ধা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং মহকুমা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একজন সম্মুখ সারির সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব:) মেজর মফিজুল হক সরকার। ১৯৭১ সালে ২৩ শে মার্চ গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে পাকিস্তানের পতাকায় আগুন ও স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোঃ মফিজুল হক সরকার।

১৯৬৯ সালে ১১ দফা আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।উল্লেখ্য, বীরমুক্তিযোদ্ধা (অব:)মেজর মফিজুল হক সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য ও বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ- সভাপতি হিসেবে পদপ্রার্থী যা এখনো চুড়ান্ত হয়নি।
নৌকা মার্কার এমপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী (অব:) মেজর মফিজুল হক সরকার ইতিমধ্যে দুই উপজেলার মসজিদ-মাদ্রাসা, ক্লাব, খেলাধুলা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় রেখেছেন বিশেষ অবদান,পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নে ধারা অব্যাহত রেখেছেন। সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব:) মেজর মফিজুল হক সরকার দৈনিক বর্তমানকে বলেন, আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও ভালোবাসার প্রতি সন্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন করবো এবং ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হয়ে এই আসনটি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো বলে আমি বিশ্বাসী করি।