নানান শঙ্কা শেষে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের চাপে মুখরিত হয়ে ওঠে গোলাপবাগ মাঠ ও তার চারপাশের সড়কগুলো। দলে দলে অলি-গলি দিকে সমাবেশে ঠুকছেন নেতাকর্মীরা। দুপুর না হতেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর মানিকনগর, কমলাপুর-মুগদার সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড় সবচে বেশি। সমাবেশস্থলে জায়গা না হওয়ায় সড়কেও এ অবস্থা। তবে সায়দাবাদ- যাত্রাবাড়ীর সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
অনেক নাটকের পর রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার অনুমতি পায় বিএনপি। ২৬ শর্তে এ অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।
গতকাল শুক্রবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পরই সমাবেশস্থলে দলে দলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। রাতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেস্থল ভরে যায় মাঠ। ক্রমান্নয়ে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। দুপুর ১টার মধ্যে মানিকনগর কমলাপুর মুগদা এলাকার রাস্তায় নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
মুগদা বিশ^রোডে কথা হয় বরিশাল থেকে আসা আসাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও অবৈধ সরকার এ সমাবেশ করতে দিতে চাইনি। কিন্তু আমাদের কর্মীরা জীবন বাজি রেখে হামলা-মামলা উপেক্ষা করে সমাবেশে ছুটে এসেছেন। গোলাপবাগের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেলে দেখেন লাখো জনতা আজ রাস্তায় অবস্থান করছে। দূর থেকেই শুনছি সমাবেশস্থল থেকে মাইকে ভেসে আসা নেতাদের বক্তব্য।
বাসাবো থেকে রফিক নামের একজন বিএনপি কর্মী বলেন, সরকার সমাবেশ বানচালের অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি। আমরা পল্টনে সমাবেশ করতে চাইলে সরকার অনুমতি দেয়নি। গোলাপবাগ মাঠে দিয়েছে, তাই এখানে সমাবেশ হচ্ছে। স্থান পরিবর্তন করেও লোকসমাগম ঠেকানো সম্ভব হয়নি সরকারের। আশা করি এর মধ্যদিয়ে বিএনপি ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে।