ঘুর্ণিঝড় মোখা’য়: সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে মোখার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। কক্সবাজার টেকনাফ উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানের বরজ ও সুপারী বাগানে। সারাদেশের চাহিদা মেটানো ছাড়াও বিদেশে রপ্তানি হয় টেকনাফের এসব কৃষি পণ্য।

গত ১৪ মে টানা ছয় ঘন্টা ঘূর্ণিঝর মোখার তান্ডবে লণ্ডভণ্ডে নষ্ট হয় টেকনাফ উপজেলার দুই-তৃতিয়াংশ পানের বরজ ও অসংখ্য সুপারী গাছ। এতে সর্বহারা হয়ে পড়েছেন অনেক পান ও সুপারী চাষী। এ নিয়ে আগামীতে এসব কৃষিজপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করার সময় লণ্ডভণ্ড করে দেয় টেকনাফ সদরের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈয়দ হোসেনের পানের বরজ। কেবল পানে একটু দাম উঠতে ছিল। ২০ শতাংশ জমির ১০ হাজার পাঁচশত পানের বরজ মাটির সাথে মিশে গেছে।

তিনি বলেন,পানের বরজ করার সময় সুদের মূলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছিলাম। এ সুদের টাকা কি করে শোধ করবো আল্লাহ ছাড়া কেউই জানেন।

সাবরাং ইউনিয়নের লেজির পাড়া গ্রামের আবুল কালাম বলেন।আমি শেষ! আমার একমাত্র আয়ের উৎস এ সুপারি বাগানটি। এ বাগান দিয়ে বছরের খোরাক হয়তো। ঘূর্ণিঝড়ে আমার বছরের খোরাক কেড়ে নিয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার শফিউল আলম জানিয়েছেন, টেকনাফ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানের বরজ, গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষেত, সুপারি বাগান ও গাছপালার। টেকনাফ উপজেলায় ৪ টি ইউনিয়নে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে,সেন্টমার্টিন,শাহপুর দ্বীপ,সাবরাং,টেকনাফ সদর,বাহার ছড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে বলেও জানান। ১৮০ হেক্টর পানের বরজ আক্রান্ত,সম্পূর্ণ ক্ষতি ৪০ হেক্টর। আংশিক ক্ষতি ১৪০ হেক্টর।টাকা হিসেবে ৩ কোটি ৭১ লক্ষ্য টাকা পানের বরজে ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া টেকনাফ উপজেলায় ১২৬০ হেক্টর সুপারি বাগান থাকলেও। ঘূর্ণিঝড় মুখায় ক্ষতি হয়েছে ২০%। ১৫ হাজার সুপারির গাছের ক্ষয়ক্ষতি ৩ কোটি টাকা।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন।এখনো পর্যন্ত কৃষি অফিসের মাধ্যমে সরাসরি অনুদান দেওয়ার নির্দেশনা আসেনি। তবে আমরা পরামর্শ সেবা দিচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর যে প্রণোদনা দেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অগ্রদিকে দেওয়া হবে এমটাই জানান তিনি।