করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই আবেদন করা হয়। তবে এই আবেদনের খবর ‘সত্য নয়’ বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৩ মে) রাত ১০টা ২০মিনিটের সময় খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি শুধু বলেন, নো কমেন্টস।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
করোনায় আক্রান্ত খালেদা জিয়া ক’দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার পর খালেদা জিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়ে। শুরুতে তিনি গুলশানে তার ভাড়া বাসা ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এরপর গত ১৫ এপ্রিল এভার কেয়ার হাসপাতালে সিটিস্ক্যান করতে নেওয়া হয়। তারপরের দিনই খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম তার বোনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সেই আবেদনে এখনও সারা পাওয়া যায়নি।
এরই মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়দফা টেস্টেও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাই ২৭ এপ্রিল ফের সিটি স্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২ মে পুনরায় করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু ওই টেস্টেও তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এ বিষয়ে তার চিকিৎসক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ম্যাডাম নন কোভিড জোনে চিকিৎসাধীন আছেন। তার করোনার কোনো উপসর্গ নেই।
এদিকে সোমবার (৩ মে) সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় বিকাল চারটার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
অপরদিকে লন্ডনের এক সূত্র নিশ্চিত করেছে, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান চাচ্ছেন খালেদা জিয়াকে বিশেষ বিমানে লন্ডনে নিয়ে চিকিৎসা করাতে। এ বিষয়ে তারা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেলেই যে কোনো সময় বিশেষ বিমানে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে।