টাইব্রেকারে জাপানের বিশ্বকাপ শেষ, কোয়ার্টারে ক্রোয়েশিয়া

টাইব্রেকারে জাপানের বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে। এশিয়ার মানুষের আশা ও জাপানিদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে কোয়ার্টারে ক্রোয়েশিয়া। অথচ এই বিশ্বকাপে জাপান রীতিমতো জায়ান্ট কিলার রূপেই দেখা দিয়েছিল। জার্মানিকে হারিয়ে চমক, স্পেনকে উড়িয়ে দিয়ে জানান দিয়েছিল আমরা প্রস্তুত। গ্রুপের সেরা হয়েই নকআউটে পা-ও রেখেছিল নীল সামুরাইরা। কিন্তু টাইব্রেকার আর ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার আর এগোতে দিল না।

সোমবার কাতার বিশ্বকাপে জাপান ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার ম্যাচে শুরুতেই হাজিমে মরিয়াসুর দল এগিয়ে গিয়েছিল। যদিও ক্রোয়েশিয়াই নিয়ন্ত্রণ করছিল ম্যাচটা, তবে সময় গড়াতেই জাপান চলে আসে দৃশ্যপটে। পেয়ে যায় গোলের দেখাও। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়েও গিয়েছিল জাপান। তবে গেল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন যিনি, সেই ইভান পেরিসিচ আজও ক্রোয়েটদের এগিয়ে দিলেন। তার গোলেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। এরপর গোলের চেষ্টা চালিয়েছে দুই দল। কিন্তু গোলের কোন দেখা মেলেনি। ফলে এই বিশ^কাপে প্রথমবার খেলাটা গড়ায় যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে। কাতার সেখানেও দেখা মিলেছে একই দৃশ্যের। মুহুর্মুহু আক্রমণ গিয়ে মাথাকুটে মরেছে দুই দলের বিপদসীমায়। স্বাভাবিকভাবেই খেলাটা গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে।

১২০ মিনিটে জাপানকে রুখে দেওয়া ক্রোয়াট গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ টাইব্রেকারেও দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন। শুরুটা করেন তাকুমি মিনামিন ও কাওরো মিতোমার পেনাল্টি ঠেকিয়ে। অপরদিকে, নিকোলা ভøাসিচ আর মার্সেলো ব্রজভিচ গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ২-০ গোলে। পিছিয়ে পড়া জাপানের সেখান থেকে আর ফেরা হল না। তাকুমা আসানো গোল করেন। তারপর মারকো লিভাজার শট পেনাল্টি শট ব্যর্থ যখন হয়, তখন জাপান ক্ষিন আশা করে বসেছিল। সে আশাটা ভেঙে যায় চতুর্থ শট নেয়া মায়া ইয়োশিদার পেনাল্টি যখন ঠেকান লিভাকোভিচ। ওপাশে মারিও পাসালিচ গোলটা পেতেই ক্রোয়েশিয়া চলে যায় শেষ আটে। টানা দ্বিতীয়বার কোয়ার্টারে ক্রোয়েটরা। জাপান টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিল। গেল বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের সঙ্গে ২-০ গোলে এগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের হার আজও মনে পড়ে।