টাঙ্গাইলে ১৪ কি‌লো‌মিটার যানবাহনের ধীরগ‌তি

ঈদে ঘরমুখী মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করায় টাঙ্গাইলে মহাসড়‌কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত ১৪ কি‌লোমিটার এলাকাজু‌ড়ে যানবাহ‌নের দীর্ঘ সা‌রি সৃ‌ষ্টি হ‌য়েছে। এতে কোথাও যানজট আবার কোথাও যানবাহনগু‌লো থে‌মে থে‌মে চল‌ছে।

সোমবার (১০ মে) সকাল থে‌কে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের কা‌লিহাতীর এলেঙ্গা থে‌কে সেতু পর্যন্ত সড়‌কে যানবাহ‌নের চাপ র‌য়ে‌ছে।

ত‌বে মহাসড়‌কে প্রচুর মাইক্রো, প্রাইভেট কারসহ ব্যক্তিগত ও ট্রা‌ক চলাচল কর‌তে দেখা গে‌ছে। এ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গণপরিবহন চলাচল কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে ঈদে ঘরমুখী মানুষ।

এ‌দি‌কে সকালের দিকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পার থেকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যান চলাচল করছে। অন্যদিকে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, মহাসড়কে যানবাহনের চাপও ততই বাড়ছে। সরকার ঘো‌ষিত দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সে‌টি মান‌ছে না মানুষ। ব্যক্তিগত পরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপে করেই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ করতে বাড়ি ছুটছে তারা। ত‌বে আন্তঃজেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না।

পিকআপে করে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ
পিকআপে করে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ

প‌রিবহ‌নশ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন দে‌শে লকডাউন ঘোষণায় গণরিবহন বন্ধ র‌য়ে‌ছে। এ‌তে তারা অর্থকষ্টে রয়েছেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন।

এ‌লেঙ্গা হাইও‌য়ে পু‌লিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়া‌সির আরাফাত জানান, মহাসড়‌কে কোনো গণপ‌রিবহন চলাচল কর‌ছে না। ত‌বে সকাল থে‌কে মহাসড়‌কে গা‌ড়ির চাপ র‌য়ে‌ছে। সকা‌লের দি‌কে গা‌ড়ির চাপ ছিল না।