নেইমার ও নেইমারের ব্রাজিল যে তাকে ছাড়া অনেকটা বেসামাল সেটা বোঝাতে সময় নেয়নি সেলেসাওরা। দ.কোরিয়ার সঙ্গে খেলতে নেমেই প্রথমার্ধে নেইমাররা ৪-০ গোলে এগিয়ে। অবিশ্বাস্য নয় এটাই সত্যি। ওখানেই তো কোরিয়ানরা শেষ। কি- করে ম্যাচে ফিরবে। তবে খেলেছে বেশ। দাপটের সঙ্গে খেললেও গোলের দেখা ১ টির বেশি পেল না। আর তাতেই পেলের শিষ্যরা ৪-১ গোলের ব্যবধানে শেষ আটে। কোয়ার্টারে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।
গোল, নাচ-গানের ছন্দে ছন্দে দর্শকদের বাড়তি বিনোদন দিতেও ভুল কনে নি তিতের দল। শুরু থেকেই ব্রাজিল নান্দনিক ফুটবল খেলেছে। কোরিয়ার বক্সে ছোট ছোট অনেক পাস খেলেছে। প্রতিপক্ষের ডিফেন্স বার বার ভেঙেছে।
ম্যাচের শুরুতেই ভিনিসিয়াস জুনিয়র গোল দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। দ্বিতীয় গোলটি হয়েছে পেনাল্টি থেকে। নেইমারের পেনাল্টিতে গোল। পুরো স্টেডিয়াম যেন ব্রাজিল উৎসব। মনে হচ্ছিল খেলাটা হচ্ছে ব্রাজিলে। এরই মধ্যে নান্দনিক গোল উপহার দিলেন রিচার্লসন। এই গোল দর্শকদের মতো হৃদয় ছুঁয়েছে কোচ তিতেকে। আর কেনই বা ছুঁয়ে যাবে না, চার চার বার নেইমাররা নেচেছেন ও দর্শকদের নাচিয়েছেন। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এলিসন বেকার নিশ্চিত ২ টি গোল সেভ করেছেন।
যদিও পরে কোরিয়ানরা ফ্রি কিক থেকে ১টি গোল দেয়। সেই গোলে শুধু ব্যবধান কমেছে মাত্র। নেইমারকে আজ ৮০ মিনিট খেলিয়েছেন তিতে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে চারে ওঠার লড়াইয়ে সেরা অস্ত্রকে কাজে লাগানোর জন্য।