আর মাত্র তিন দিন। এর পরই পহেলা জানুয়ারি। নতুন বছরের প্রথম দিন। এই দিনেই বই উৎসব করতে যাচ্ছে সরকার। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে উৎসব করতে জেলা ও উপজেলায় সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেও দিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বিভিন্ন জেলায় মন্ত্রী, এমপিরাও প্রস্তুত বই উৎসবের জন্য।
এবার কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। অপরদিকে, মাধ্যমিকের বই উৎসব হবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই উৎসবে উপস্থিত থাকার কথা।
এর আগে বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তার কার্যালয়ে প্রতিটি শ্রেণির একজন করে শিক্ষার্থীকে এক সেট করে বই দিয়ে এই উৎসবের শুভ উদ্বোধন করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, যেহেতু করোনার কারণে গেল দুই বছর উৎসব আমরা করতে পারিনি, তাই এ বছর আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলায় আগেই জানিয়ে দিয়েছি আড়ম্বর করে উৎসবমুখর পরিবেশে বই দেওয়া হবে।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সাড়ে ৩৪ কোটির বেশি কপি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি মিলিয়ে এই স্তরে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই ছাপা হয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মাধ্যমিকে ৮১ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রাথমিকে গত রোববার মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ৬৮ শতাংশ বই।