বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ দেউলিয়া হয় নাই। বিএনপি বাংলাদেশকে শ্রীলংকার মতো বানাতে চেয়েছিল। বিএনপির বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে। এটা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছে। পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে-এ কথা শোনার পর মির্জা ফখরুল হাসপাতালে চলে গেছেন। এত বড় বন্ধু রাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে গেল আর কোথায় যাবে হাসপাতাল ছাড়া।
বাংলাদেশকে তারা অসুস্থ করতে চায়; দেউলিয়া করতে চায়। আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা দেশের জন্য ও জনগণের জন্য কাজ করে। তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে তৈরি করছি। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলে এটা সম্ভব হয়েছে।
এখন বিএনপি যদি ক্ষমতায় থাকত বাংলাদেশও পাকিস্তানের মতো দেউলিয়া হয়ে যেত। শেখ হাসিনা আছে বলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ গর্ব করে বুক চিটিয়ে পৃথিবীর মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগ যখনই সুযোগ পেয়েছ; দায়িত্ব পেয়েছে তখনই বাংলার মানুষের জন্য কাজ করছে। আওয়ামী লীগ আগামীতে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে নিয়ে যাবে। আমরা দরিদ্রতা জয় করেছি, মধ্যম আয় থেকে উন্নয়নশীল দেশে গেছি। টার্গেট দিয়েছি ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা উন্নত বাংলাদেশে গিয়ে সমস্ত পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিব- ১৯৭১ সালের বিজয়ীরা আজকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। আমরা সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।
২২ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দিনাজপুরের বিরলে মঙ্গলপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুলরা বলেছিল, সরকার করোনা মোকাবিলা করতে পারবে না। অথচ আজ আমরা করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের মধ্যে ৫ম স্থানে আছি। বিএনপির এক মন্ত্রী তাদের আমলে উত্তরবঙ্গ, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুরের লোকজনকে ‘মফিজ’ বলে কটাক্ষ করেছিল। বিএনপি বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ‘মফিজ’ বানিয়ে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষ মফিজ হয় নাই। মানুষকে নিয়ে কটাক্ষ করা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় এবং পাপ। তারা মানুষকে ছোট করে কটাক্ষ করে কথা বলেছে। আজ সেই মফিজ এলাকার সৈয়দপুর হতে নিয়মিত আঠার/কুড়িটির অধিক ফ্লাইট দেশের অভ্যন্তরে চলাচল করছে। এ অঞ্চলের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। যারা কটাক্ষ করেছিল, তারাও এর সুফল ভোগ করছে।
এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিরল উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফছানা কাওছার। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহীনূর ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী সকালে বিরল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বাদ্যযন্ত্র বিতরণ করেন।
