নানা আয়োজনে চলছে বই বিতরণ উৎসব-২০২৩। নতুন বই পেয়ে বেজায় খুশি, উচ্ছ্বসিত কোমলমতি শিশুরা। আবার কেউ কেউ বই না পেয়ে কষ্ট পেয়েছেন। বই সল্পতা এবং ভর্তি জনিত কারণ দেখিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
রোববার (১ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বই বিতরণ উৎসব-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে রাজধানীর কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজে বই উৎসবে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বই বিতরণ উৎসবে বলেন, যে বই আকড়ে থাকে, তার জীবনে ষফলতা ধরা দেয়। বেশি বেশি বই পড়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বে যেভাবে বাংলাদেশ আজ দৃষ্টান্ত হতে পেরেছে, আগামীর শিক্ষার্থীরা এই দৃষ্টান্তকে আরো সাফল্যমন্ডিত করে তুলবে।
এসময় রাজধানীর কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুজানা, সাদিয়া, মিম, ওহি জানায়, নতুন বই পেয়ে আমরা সবাই বেশ খুশি।
কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ইয়াহিয়া সোহেল বলেন, আর চারদিন পর আমাদের স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী। স্বাভাবিকভাবেই হরেক ব্যস্ততার মাঝে শান্তিপূর্ণ, আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই দিতে পেরে ভাল লাগছে।
এই স্কুলের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই তুলে দিতে পেরে বেশ ভাল লাগছে। বছরের প্রথম দিন কেক খাওয়া, র্যালীতে অংশ নেয়া ও বইয়ের ঘ্রাণ আমার কাছে মধুর লাগে। আমার বিশ্বাস, এমনটা সবারই হয়।
এ বছর প্রাথমিকে ২ কোটি ১৮ লাখ ৩ হাজার ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণের কথা রয়েছে।