বরিশালে ব্যানার উচ্ছেদ : পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, মেয়রসহ আহত ৩০

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ব্যানার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যদের গুলিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে পুলিশের দাবি, ছাত্রলীগ নেতারা বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা চালাতে গেলে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়।

কোতোয়ালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন এ ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বাবুকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের স্টাফদের সঙ্গে ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। শুনেছি আনসাররা গুলি চালিয়েছে। এ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে যাতে না হয় সেজন্য ইউএনও’র নিরাপত্তায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ইউএনও মুনিবুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার-পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব ছিঁড়তে আসে। রাতে লোকজন ঘুমাচ্ছে জানিয়ে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বৃহস্পতিবার সকালে এগুলো ছিঁড়তে বলেন। এরপর তারা তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ইউএনওর বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। রাতে দুই দফায় জেলা ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মীর হামলায় আমার সরকারি বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিম ও সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত বলেন, বরিশাল থানা কাউন্সিল কম্পাউন্ডে ব্যানার উচ্ছেদ করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ কর্মকর্তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে আনসাররা। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে থানা কাউন্সিল ঘেরাও করে।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে হট্টগোল বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেইসঙ্গে দফায় দফায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

এদিকে, থানা কাউন্সিলের সামনের বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ওপর ময়লা ও ময়লাবহনকারী গাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে দিয়েছে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।