বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার জিতেছেন ড. শকুন্তলা

খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার খ্যাত ‘বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার-২০২১’ জিতেছেন ড. শকুন্তলা হরাকসিংহ থিলস্টেড। বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় মাছ ও জলজ খাদ্যের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণে অসামান্য অবদান রাখায় তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

 

বৃহস্পতিবার (২০ মে) ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

পুষ্টিবিদ ড. শকুন্তলা গত ১১ মে এ সম্মাননা লাভ করেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় জন্মগ্রহণকারী এবং ডেনমার্কের বাসিন্দা ড. শকুন্তলা হরাকসিংহ থিলস্টেড বর্তমানে ওয়ার্ল্ডফিশের পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গ্লোবাল লিড হিসাবে কাজ করছেন।

১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল ওহাবের সঙ্গে গবেষণা শুরু করেন। গবেষণার জন্য তিনি পুষ্টিকর ডায়েট হিসেবে ছোট দেশীয় মাছের প্রজাতি হিসেবে বাংলাদেশের মলাকে বেছে নেন। তারপরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও রয়েল ভেটেরিনারি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির (বর্তমানে কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ) অংশীদারিত্বে তারা গবেষণার মাধম্যে মলা-কার্প পলিকালচার পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন।

যৌথভাবে তারা পুকুরে বড় মাছের পাশাপাশি ছোট মাছ চাষে বাংলাদেশি ও ডেনমার্কের একদল মেধাবী গবেষকদের যুক্ত করেন। পরবর্তী সময়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ মলা মাছ চাষের এই প্রযুক্তিটি তিনি দ্রুত মায়ানমার, নেপাল এবং ভারত, কম্বোডিয়াসহ আরও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

বর্তমানে ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে পরিচালিত ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ প্রকল্পের টিম লিডার হিসাবে কর্মরত ড. মো. আব্দুল ওহাব বলেন, ‘গৌরবময় বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার জয়ে আমরা তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমি খুব আনন্দিত যে শকুন্তলা হরাকসিংহ থিলস্টেডের গবেষণার সঙ্গে আমি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম।’