মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া
বরিশালের বানারীপাড়ায় বসত ঘরের সামনে বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ধণাঢ্য ও
প্রভাবশালীদের নামে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নরে দান্ডহাট গ্রামের দুটি হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবার এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে দান্ডহাট গ্রামের বজলু রাঢ়ীর স্ত্রী সালমা বেগম (৫৫), তার আত্বিয় হালিমা বেগম (৬০) ও মেয়ে মাকসুদা বেগম (২৬) জানিয়েছেন একই বাড়ির বাসিন্দা হারুন শরীফ (৬০), মো. কাছেম শরীফ (৫৫) ও কাওছার শরীফ (২৬) সহ কতিপয় ব্যক্তি তাদের বসত ঘরের সামনে বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।
গত ২০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় দিকে এ ঘটনা ঘটান ওই বাড়ির ধণাঢ্য ও প্রভাবশালী লোকেরা তাদের পারিবারের অন্য সদস্য ও স্বজনদের একত্রিত করে দেশীয় দা-কাস্তে, শাবল, লোহার রড, খোন্তা ও কোদাল নিয়ে হতদরিদ্র সালমা ও হালিমা বেগম এর বসত ঘরের সামনে বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন।
এ সময় হালিমা বেগমের মেয়ে মাকসুদা বেগম এর প্রতিবাদ করলে উপরোক্ত উল্লেখিতরা তাকে গালাগালসহ মারধর করে আহত করে। এ সময় আহত মাকসুদা ও তার স্বজনদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের বেড়া দেয়ার কাজ চালিয়ে নেন। ওইদিনই মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় উল্লেখিত ৩ জনকে বিবাদী করে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে থানার সহকারি পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একই অভিযোগে বানারীপাড়া প্রেস ক্লাব প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা জানান, এই পরিবার দুটি অসহায়, তাদের পৈত্রিক বাড়িতে তারা আজ অবরুদ্ধ এটা অমানবিক। দুটি পরিবারে মাত্র ৩/৪ জন সদস্য এরা ওই স্থান (বেড়া দিয়ে আটকানো জায়গা) দিয়ে হাটলে তেমন ক্ষতি হবে বলে মনে করেন না স্থানীয়রা। কতেক স্থানীয়রা বলছিলেন এ যেন দূর্বলদের প্রতি সবলদের জুলুম।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী সালমা ও হালিমা বেগম জানান, সম্পত্তি নিয়ে হারুন শরীফদের সাথে তাদের অনেক আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিলো। তারা (হারুণ শরীফ’রা) এই সম্পত্তি ফরাজী হিসেবে পেয়েছেন আবার কিছু অংশ ক্রয়ও করেছেন। আর তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে থাকছেন। হারুন শরীফরা সম্পত্তি ক্রয় করার সময় মজগুনি হিসেবে চলাচলের রাস্তা রাখা হয়েছিলো। যেখান দিয়ে তারা বহু বছর পর্যন্ত হাটাচলা করছেন।
অভিযুক্তদের বক্তব্য হলো হালিমা ও সালমা বেগম তাদের বাড়ির ওপর দিয়ে হাটার সময় ফলদ, বনজ ও ঔষধী গাছের ক্ষতি করে চলছে। এছাড়াও হাটাচলার জন্য কোন মজগুনি রাস্তা রাখা হয়নি। তাদের জায়গার সীমানা বরাবর সম্পূর্ণটাই তারা আটকে দিয়েছেন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে।