রাজধানীর বিআইডব্লিউটিএ’র ২০তম গ্রেডের কর্মচারী সঞ্জীব কুমার দাসের বিরুদ্ধে তদবির, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজী, দুর্নীতি, ঘুষ, নারী, অর্থ পাচার, গণধর্ষণ এবং ব্ল্যাকমেইলসহ নানা অপকর্ম তুলে ধরে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগীরা মুখে কালো কাপর বেঁধে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন প্রকার অনিয়মের কথা জানান। সঞ্জীব ও তাঁর বাহিনীর ভয়ে ভুক্তভোগীরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীরা বলেন, সঞ্জীব কুমার দাস এর বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। গণধর্ষণ, তদবির,টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজী, দুর্নীতি, ঘুষ, নারী ও অর্থ পাচার, ব্ল্যাকমেইলসহ এমন কোনো অপরাধমূলক কাজ নেই যা তিনি করেন না। তিনি মাত্র ১৫ হাজার টাকা বেতনে বিআইডব্লিউটিএ চাকরি করেন। কিন্তু তিনি একটি ৩০ লাখ টাকা দামের এলিয়েন গাড়িতে চলাচল করতেন। এই গাড়ি তাকে গোল্ডেন মনির নামের এক ব্যক্তি কিনে দিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সঞ্জীব।
সূত্রমতে, বিআইডব্লিউটিএ চাকরির পূর্বে এক সময় সঞ্জীব কুমার মূলত গোল্ডেন মনিরের সোর্স হিসেবে কাজ করত। গোল্ডেন মনিরের যত দালালির কাজ ছিল, তার সবগুলোই দেখাশোনা করত তিনি। এছাড়াও সে বড়-বড় কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে তদবির বাণিজ্য সহ নানাবিধ অনিয়মের কথা তুলে ধরা হয়েছে। জানাগেছে, ইতিপূর্বে সঞ্জীব কুমার দাসসহ পাঁচজনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এক নারী ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মাসে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে করে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে সঞ্জীব একজন।
আরও জানাগেছে, সঞ্জীব কুমার অসংখ্য নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। অনেকে সম্মানের ভয়ে মুখ ফূটে নারাজ হয়ে পড়েছেন। তিনি বিআইডব্লিউটিএ থেকে তিনবার বরখাস্ত হয়েছিলেন। সবশেষ শাস্তি হিসেবে তাকে খুলনায় বদলি করা হয়। এরপর সেখান থেকে মাদারীপুরে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি মাদারীপুরে না থেকে নানান অযুহাতে ঢাকায় থাকেন। মাদারীপুরে না থেকেও অন্য লোকের মাধ্যমে জাল স্বাক্ষর করে নিয়মিত হাজিরা দেয় এবং নিয়মিত বেতন তুলেন।
সুতরাং এধরনের তাঁর বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম থাকা সত্ত্বেও তাঁর প্রতারণা যেন থামছেনা। তারপরেও এতো অভিযোগ সূত্রেও সঞ্জীব পদন্নোতি পাওয়ার লক্ষে তদবির বাণিজ্যয় ব্যস্ত রয়েছেন। এসময় ভুক্তভোগীরা মানববন্ধনে অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মো. অনিক, মামুন হোসেন, আলতাফ মন্ডল, আবুল হোসেন মিঠু প্রমুখ।