মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী আসা নিয়ন্ত্রণে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল শনিবার থেকেই। তবে তাদেরও বাঁধা-নিষেধ উপেক্ষা করে নাড়ীর টানে মানুষের ঢল দুই ফেরিঘাটে। ফেরি বন্ধ থাকায় লঞ্চ-নৌকায় যে যেভাবে পারছে গন্তব্যে ছুঁটছে। মনে হচ্ছে দেশে কোন মহামারির ছোবল নেই!
সরেজমীনে দেখা গেছে রোববার (৯ মে) সকাল থেকে বিজিবি সদস্যরা ঘাটের প্রবেশমুখে টহল দিয়ে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন প্রবেশ রোধ করে ফেরত পাঠাচ্ছেন। বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভোর থেকে নদী পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় এসে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। মুন্সিগঞ্জের ৩ নম্বর শিমুলিয়া ফেরিঘাটে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
পদে পদে বিঘ্নটা, বেশি ভাড়া আর ফেরি বন্ধ জেনেও যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে উপস্থিতি। ঘাটে প্রবেশপথের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হলেও ৪-৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামান বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ আছে, বিশেষ বিবেচনায় লাশ ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে। আমরা চেকপোস্ট বসিয়েছি। কোনো যাত্রীবাহী যানবাহন ঘাটে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, যাত্রীদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। পণ্যবাহী যেসব যানবাহন ঘাটে আছে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাতের বেলা সেগুলো পার করা হবে।
এদিকে সকাল ৮টার দিকে তিন নম্বর ফেরিঘাট থেকে লাশ ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেরি বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। ফেরিতে কিছু সংখ্যক যাত্রীও পার হয়েছেন। এছাড়া কেউ কেউ নৌকায় ঝুঁকি নিয়েও পার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দুই ফেরিঘাটের ব্যবসায়ীরা।