ভারতে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে দৈনিক শনাক্ত নতুন রোগীর সংখ্যা আরও কমলেও মৃত্যু বেড়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৬০ জন। গত ২০ এপ্রিল ২ লাখ ৯৪ হাজারের পর এটিই সবচেয়ে কম শনাক্ত।

তবে শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বাড়ছে ভারতে। গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ হাজার ৯২ জনের মৃত্যু হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪১১ জনে।

এ দিন নতুন আক্রান্ত আগের দিনগুলোর তুলনায় অনেকটা কম হলেও টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দৈনিক তিন লাখেরও বেশি রোগী শনাক্তের ধারা বজায় ছিল।

শহর-নগর ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে। শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর এ সংখ্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত।

টানা তিন দিন ধরে চার হাজারের বেশি মৃত্যু দেখার পর শনিবার দেশটিতে মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমেছিল, কিন্তু এরপরই আবার চার হাজারের বেশি মৃত্যু দেখল দেশটি।

তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতে সংক্রমণ গ্রামাঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ায় বহু আক্রান্ত পরীক্ষার আওতার বাইরে রয়ে গেছেন, এতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যার সঠিক চিত্র উঠে আসছে না। প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে পাঁচ থেকে ১০ গুণ বেশি হবে বলে ধারণা তাদের।

৫ এপ্রিল থেকে ভারতে প্রতিদিন লাখ লাখের বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। শুধুমাত্র গত ১০ দিনে দেশটিতে প্রায় ৪০ লাখের মতো রোগী শনাক্ত হয়েছে।

মার্চের প্রথমদিকে প্রতি সপ্তাহে ভারতের পরীক্ষার সক্ষমতা প্রায় ৫০ লাখের মতো থাকলেও এখন তা বেড়ে সপ্তাহে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখের মতো হয়েছে ।

গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক ২০ হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লকডাউন জারি করেছে। রোববার থেকে শুরু হওয়ার ১৫ দিনের এ লকডাউন ৩০ মে পর্যন্ত বজায় থাকবে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সব দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।