কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের স্থলবন্দর সড়কের লক্ষ্মীমোড় এলাকায় দিন-দুপুরে ফিল্মি স্টাইলে বিকাশ কর্মীর মোটর সাইকেল গতিরোধ করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে কচাকাটা থানা পুলিশ ও ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযানে নামে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ৩ জন কে আটক করে থানা পুলিশ। এসময় আটককৃতদের কাছ হতে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইকারীরা হলেন, নাগেশ্বরী বোয়ালের ডারা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে খাদেমুল ইসলাম, মন্ত্রীটারী দীঘিরপাড় এলাকার শশীমোহন বর্মণের ছেলে প্রসেনজিৎ ও ছনবান্দা শান্তির মোড় সরদারটারী এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মোন্নাফ।
মোন্নাফ আলীর মা রহিমা বেগম বলেন, ছিনতাইকৃত টাকা মোন্নাফ আলীর বাড়িতে ভাগাভাগি করে সকলে বাড়ি হতে চলে যায়।
কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা জানান, রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ দিকে নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিকাশ এজেন্ট মেসার্স জনতা ট্রেডার্স এর কর্মী শ্রী শুভ কুমার রায় ও বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মণ ভূরুঙ্গামারী থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে যাওয়ার সময় লক্ষ্মীমোড় এলাকায় পিছন দিক থেকে তিন ছিনতাইকারী একটি মটরসাইকেল যোগে বিকাশ এজেন্টের মটর সাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর ছিনতাই কারীরা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নের ছনবান্দা এলাকা হতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ছিনতাইকারী খাদেমুল ইসলাম, প্রসেনজিৎ ও মোন্নাফ আলীকে আটক করা হয়। এসময় একজন পালিয়ে যায়।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে ছিনতাইয়ের ঘটনা টি অভিযোগ করলে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনা স্হলে পুলিশ পাঠাই। পুলিশ গিয়ে ৩ জনকে আটক করে।
আটককৃত ছিনতাইকারীদের কাছ হতে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকা নিয়ে একজন পলাতক রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়োমিত আইনে মামলা রুজু করে জেল হাজতে পাঠানো হবে।