খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে পাঁচ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা পাচ দিন পরে উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত ধর্ষক মো. আনু মিয়া (৫৫) আটক করেছে পুলিশ।
১৬ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩টায় গুইমারা থানা এলাকার কালাপানি নামক স্থানে অভিযুক্ত ধর্ষক মো. আনু মিয়া (৫৫) আটক করে মানিকছড়ি থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের নামার পাড়া এলাকায় গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেলে আনু মিয়া প্রতিবেশি শিশু কন্যাকে পাশবিক নির্যাতন করেন! শিশুটির আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়! ঘটনার পরপরই নির্যাতিতার মা স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মহরম আলীকে বিষয়টি অবহিত করেন।
তিনি বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে গ্রাম্য চিকিৎসক থেকে ব্যাথার ঔষধ নিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন এবং শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে স্থানীয়ভাবে বসে সমস্যা সমাধারে আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য এ বিষয়ে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় শিশুটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন! এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার গোপনাঙ্গে ক্ষত চিহ্নের আলামত থাকায় সন্ধায় তাকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা ছবুরা বেগম বাদী হয়ে মানিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন মামলা নং-৪।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকছড়ি থানার ওসি মো. আনচারুল করিম জানান, আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পাঁচদিন পর উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত ধর্ষক মো. আনু মিয়া (৫৫) আটক করা হয়। আগামীকাল তাকে আদালতে প্রেরন করা হইবে।