আজ বিশ্ব মা দিবস। দিবসটি ঘিরে শোবিজ অঙ্গণও আপ্লত। এরই ধারাবাহিকতায় পিয়া জান্নাতুল লিখেছেন-‘মা হওয়ার পর তার আর কোনো অপূর্ণতা নেই’। আসলেই তো একটি মেয়ের জীবনে আর কী অপূর্ণতা থাকতে পারে!
পিয়া জান্নাতুলের লেখাটি জয়বাংলানিউজের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হল-
বিশ্বব্যাপী মা দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। আমার দৃষ্টিতে বিষয়টি ভালো। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা, দায়িত্ব যেমন একদিনের নয়, তেমনি মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা, দায়িত্বও একদিনের নয়। বরং এটি সবসময়ের। তবে আলাদাভাবে একটি দিন উদযাপন খারাপ কিছু না। কারণ আমরা এই প্রজন্মের যারা আছি তারা সোস্যাল মিডিয়ায় অনেক সরব। আমরা মাকে আলাদাভাবে হয়তো কখনো বলি না, মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু এই দিনটিতে স্ট্যাটাস দিয়ে হলেও এই আবেগ বা অনুভূতিটুকু প্রকাশ করে থাকি। সুতরাং এটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখি। এ বছর আমি মা হয়েছি। আমার কাছে আজকের দিনটি আরো বেশি গুরুত্ব বহন করে।
অনেকে বলে, বিয়ে করলে ক্যারিয়ার শেষ। আর মা হলে ক্যারিয়ারে আরো ভাটা পড়ে যায়। বিশেষ করে আমাদের পেশায় যারা আছেন। আসলে সবকিছু যদি ভ্যালেন্স করে চলা যায়, তবে আমি মনে করি এটি আশীর্বাদ। আগে আমি যেখানে ছিলাম, মা হওয়ার পরে সেখানেই আছি। ক্যারিয়ার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পরিবারের চেয়ে বেশি নয়। মা হওয়ার পর এই বিষয়টি নতুন করে অনুধাবন করতে পারছি।
আমি সবসময় ডায়েরি লিখতাম। আর তাতে নিজের চাওয়াগুলো লিপিবদ্ধ করতাম। আমার চাওয়ার মধ্যে একটি জিনিস বাকি ছিল, তা হলো মা হওয়া। আলহামদুলিল্লাহ, আমার এই চাওয়াটাও পূর্ণ হয়েছে। আমি এখন খুবই সুখী। এখন জীবনে যা কিছু পাব তা হবে বাড়তি পাওনা। জীবনে বেসিক যে চাওয়া পাওয়া ছিল, তার সবই আমি পেয়ে গেছি। মা হওয়ার পর আমার কোনো অপূর্ণতা নেই।
মা হওয়ার পর জীবন অনেকটা বদলে গেছে।
আমি সবসময়ই দায়িত্ববান একটি মেয়ে। তবে মা হওয়ার পর সেটা আরো বেড়ে গেছে। আগে নিজের বাড়ি, শ্বশুর বাড়ির সবকিছুই ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে রাখতাম। এখন ২৪ ঘণ্টার একটা দায়িত্ব যোগ হয়েছে। আর এই যে পরিবর্তন তার পুরোটাই ইতিবাচকভাবে এসেছে। দেখুন, আমাদের ঘুম না হলে সবারই শরীর খারাপ লাগে। এখন অধিকাংশ রাতে বাচ্চার জন্য আমাকে জেগে থাকতে হয়। নিজের সন্তানের যত্ন নিই, তাকে দেখি। কিন্তু তাতেও আমার খারাপ লাগে না। বরং ভালো লাগে। এই যে আবেগ এটা একমাত্র মা হলেই পাওয়া যায়।