মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে অপহৃত দুই শিশু ,পুলিশ বলছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার

কক্সবাজার টেকনাফে বাহারছড়ার মারিশবনিয়া পাহাড়ে অপহৃত দুই শিশুকে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান স্বজনেরা। দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া দুই শিশু হলেন- টেকনাফে বাহারছড়ার মারিশবনিয়া পাড়ার বাসিন্দা প্রবাসী হেসেন আলীর ছেলে মো.সালমান (৪) একই এলাকার মো. আলীর ছেলে ওবাইদুল্লাহ (১৫)। তারা দুইজনই সম্পর্কে চাচাত ভাই।

অপহৃতদের মামাতো ভাই হামিদ হোসেন জানান, ৭০ হাজার টাকা মুক্তি পণ দিয়ে প্রথমে শিশু মো.সালমান (৪) কে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আমরা পাহাড়ে ছুটে যাই। পাহাড়ের ঢালুতে অপহরণকারীদের কবলে থাকা অপর শিশু ওবাইদুল্লাহর কান্নার আওয়াজ শোনতে পেলে অপহরণকারীদের ধাওয়া করি। এসময় অপহরণকারীরা ওবাইদুল্লাহকে একা রেখে পালিয়ে যায়।

তবে অপহরণের সাড়ে পাচঁ ঘন্টার মধ্যে তাদেরকে গহীন পাহাড়ের ঢালু থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ। জানতে চাইলে বাহারছড়া পুলিশ ফাড়িঁর তদন্তকেন্দ্রের কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, অপহৃত দুই শিশুর খবর পেয়ে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচাজ আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে পুলিশের ১০ জন ফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করে।

এসময় মোবাইলের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীদের কবল থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়। অপহরণের পাচঁ ঘন্টা পর মারিশবনিয়া পাহাড়ের ঢালু থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মো.সালমান (৪) বয়সে ছোট হওয়ায় তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। ওবাইদুল্লাহ (১৫) কে জিঙ্গাসাবাদের জন্য থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। তবে মুক্তিপণের বিষয় সম্পর্কে সে অবগত নয় বলেও জানায় তিনি।

উল্লেখ্য, ৩ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহারছড়ার মারিশবনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহরণকারীরা ৪ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেছিলো অপহৃত পরিবারের কাছে। বিকেলে ওরা দুইজন বাহারছড়া বাজারে চুল কাটার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। সেলুনে মানুষের ভিড় থাকায় চুল না কেটে বাড়িতে ফেরারপথে মারিশবনিয়ার মাদ্রারাস সামনে তাদের ধরে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার দুই ঘন্টা পর অপহৃত ওবাইদুল্লাহর মুঠোফোন থেকে তার মা’কে ফোনে মুক্তিপন চেয়ে ৪ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণকারীরা পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপ হতে পারে। কারন এর আগে সেখানে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।