আজ রাজধানী জুড়ে বাদ জুমা ‘গণমিছিল’ করবে বিএনপি। আর বিএনপির এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সতর্ক পাহারায় থাকবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। মোদ্দকথা, মাঠ দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।
সরকার পতনের এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঐক্যের যাত্রাকে দৃঢ় করতে চায় বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। বিএনপি নয়াপল্টনে, গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, ১২-দলীয় জোট বিজয়নগরে এবং এলডিপি পান্থপথ থেকে মিছিল বের করা কথা। পৃথকভাবে মিছিল বের করবে জামায়াতে ইসলামীও।
অপরদিকে, ক্ষমতাশীল সরকারি দলটির সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগও মাঠে থাকবে। ইতিমধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে কে কোথায় অবস্থান করবেন। উত্তরায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত থাকার কথা সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দুকুর রহমান ও ধর্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। মহাখালীতে প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান। শ্যামলীতে প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা থাকবেন। ফার্মগেটে প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। মিরপুর-গাবতলীতে থাকার কথা রয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং সাবেক সদস্য আবদুল আওয়াল শামীম। মিরপুর গোলচত্বরে অবস্থান নেবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর। রামপুরায় শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম এবং বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ ১০ দফা দাবিতে ২৪ ডিসেম্বর এই গণমিছিল কর্মসূচি দেয় বিএনপি। একই তারিখে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল পড়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আহ্বানে বিএনপি এই গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তন করে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেন।