রাজশাহী ও চট্রগ্রামে করোনায় আরও ২০ মৃত্যু

দেশের দুই জেলার হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রাজশাহীতে ৯ জন আর চট্রগ্রামে ১১ জন রয়েছে। বিস্তারিত প্রতিনিধির পাঠানো খবরে-

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চারজন ও উপসর্গে পাঁচজন মারা গেছেন।

বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হাসপাতালে মৃতদের মধ্যে পুরুষ তিনজন ও নারী ছয়জন। এদের অধিকাংশের বয়স ৩১ থেকে ৬৫ বছরের ওপরে ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের দাফনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পরিচালক আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহী জেলার চারজন, নাটোরের দুইজন, নওগাঁর দুজন ও মেহেরপুরের একজন। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাজশাহীর তিনজন ও নাটোরের একজন। অন্যদিকে, উপসর্গে মারা গেছেন রাজশাহীর একজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর দুজন ও মেহেরপুরের একজন।

রোগীদের ভর্তি ও আক্রান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ জন। রামেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৪৭ জন এবং সন্দেহভাজন ও উপসর্গ নিয়ে ১১৪ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে ৫১৩টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিলেন ২৬১ জন।

করোনা পরীক্ষার বিষয়ে রামেকের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৪৬৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ জন মারা গেছেন। আর একই সময়ে নতুন করে ৩৩৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, মঙ্গলবার  করোনায় মারা গিয়েছিলেন ১১ জন, শনাক্ত হয়েছিলেন ৪৩৮ জন।

চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৮৫৪ জন। মোট শনাক্তের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরেরই ৭০ হাজার ২৮০ জন। বাকি ২৫ হাজার ৫৭৪ জন বিভিন্ন উপজেলার।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের ৫ জন নগরের বাসিন্দা, বাকি ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার। করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫৮ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ৪৯২ জন।