বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে তিন দিনের সফরের ২য় দিনে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে রানি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প অভিমুখে যাত্রা করেন।
দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পে পৌঁছান রানি। প্রথমে তিন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত একটি শিক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। এছাড়াও ক্যাম্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নানা কার্যক্রম পরিদর্শন ও বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন রানি মাথিল্ডে।
বেলজিয়ামের রানির সঙ্গে রয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসা বেলজিয়ামের কোনো রানির এই সফরে মানবিক সহায়তা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে এসেছেন তিনি। যেখানে অবস্থান করছে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।
সফরসূচি অনুযায়ী রানি ৪নং এক্সেটেনশন ক্যাম্প ও ৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।
এ সময় রানি গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল, বায়োগ্যাস প্ল্যান্টেশন, ইকোপার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, হলিচাইল্ড লার্নিং সেন্টার, উইমেন মার্কেট পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলবেন রানি মাথিল্ডে। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়েও রানি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এদিকে তার এই সফরকে ঘিরে পুরো ক্যাম্প এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ, এবিপিএন সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বিকেল ৪টার কিছু সময় পর তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করবেন এবং সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে জানা গেছে।