১৯৯৯ সালের পর শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক

সাত দশমিক আট মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল। এতে এখন পর্যন্ত দুই দেশের এক হাজার দুইশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে। ৪০ সেকেন্ড ধরে চলা এই ভূমিকম্পের কম্পন পৌঁছায় লেবানন ও সাইপ্রাাসেও। জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের পর এটাই তুরস্কে সবচেয়ে শাক্তিশালী ভূমিকম্প।

ধারণা করা হচ্ছে, ধসে পড়া ভবনগুলোতে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়েছে। কর্মীরা ধ্বসংস্তূপের মধ্য থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপড়তা জোড়ালো করেছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের আগস্টে সাত দশমিক ছয় মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল মারমারায় আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।

এরপর ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে তুরস্কের পূর্বঞ্চলের শহর দুজসেতে সাত দশমিক দুই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ঘটনায় মারা যায় ৮৪৫ জন।

এরপর বিভিন্ন সময়ে তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু সেগুলো এত বিধ্বংসী ছিল না। তাই মাত্রার দিক থেকে এবারের ভূমিকম্পটি তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী। এমন পস্থিতিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ২ হাজার ৮১৮টি ভবন ধসে পড়েছে।

এদিকে চলতি বছরের মে মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে তুরস্কে। কিন্তু এর মধ্যেই এলো ভয়াবহ ভূমিকম্পের খবর। ধারণা করা হচ্ছে, এই ইস্যুটি আসন্ন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ভূমিকম্পে তুরস্ক সরকারের জরুরি প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তার ওপর নির্ভর করতে পারে এরদোয়ান ফের ক্ষমতায় আসতে পারবেন কি না। ইস্তাম্বুল থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক রেসুল সেরদার এমন খবর জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তুরস্কের জন্য সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। একদিকে যেমন দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তেমনি রয়েছে রাজনৈতিক অবস্থা।