সকল আলোচনার অবসান ঘটিয়ে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন সাবেক জেলা দায়রা জজ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেছেন।
১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম দাখিল করেছেন। সকাল পৌনে ১১টায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে পৌঁছায়।
সেখানে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর প্রতিনিধি দলটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীই হবেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (নির্বাচনী কর্তা) কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সংসদ-সদস্য রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে ওই পদের জন্য মনোনীত করে নির্বাচনী কর্তার কাছে একটি মনোনয়নপত্র দিতে পারবেন। প্রস্তাবক হিসেবে সেই সংসদ সদস্য মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর করবেন। একইভাবে ওই ফরমে অপর একজন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর সমর্থক হিসেবে থাকতে হবে। রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত ব্যক্তির স্বাক্ষরও থাকবে সেই মনোনয়ন ফরমে।
সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যেই ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নতুন কাউকে শপথ নিতে হবে। আইনে দুই মেয়াদের যে সীমা বেঁধে দেওয়া আছে সেই অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. আবদুল হামিদের দুই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ এপ্রিল। তাই তিনি আর এই পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ১৮তম ব্যক্তি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
সংবিধানের ১২৩(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মেয়াদ শেষে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হওয়ার ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এবার গত ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দুই মেয়াদে রয়েছেন। তাই তিনি আর প্রার্থী হতে পারবেন না।
সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য একবার সংসদের কক্ষে ভোট হয়েছিল। পরে প্রতিবারই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।